প্রিন্ট এর তারিখঃ Nov 8, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Sep 19, 2025 ইং
৩ ধরনের টানাপোড়েনের মধ্যে প্রশাসন: টিআইবি

প্রশাসনে এখন তিন ধরনের শক্তি সক্রিয়—একদলীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠী, প্রতিস্থাপিত দলীয় গোষ্ঠী এবং নিরপেক্ষ থাকতে চাওয়া একটি ছোট পেশাজীবী গোষ্ঠী। নির্বাচন এই টানাপোড়েনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার টিআইবি কার্যালয়ে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সদস্য সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত নির্বাচনি সংবাদ প্রতিবেদন প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইফতেখারুজ্জামান এসব বলেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত আইন ও নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনা হলেও প্রত্যাশিত সংস্কার এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। বিশেষ করে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে যে শর্ত আরোপ করা হয়েছে, তা ঝুঁকি তৈরি করছে। তিনি বলেন, এ বাধা অপসারণ করা দরকার। তবে সেটি না হলেও সাংবাদিকদের নিজেদের অবস্থান থেকে, আইন ও নীতিমালার মধ্যে থেকে, সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দেশের শাসনব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিকরণ ও প্রতিষ্ঠান দুর্বলকরণের মধ্য দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রশাসনের পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতা নষ্ট হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে একটি দলীয় প্রভাবকে আরেকটি দলীয় প্রভাব দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
তবে প্রশাসনে এখনও কিছু কর্মকর্তা আছেন যারা নিরপেক্ষ থেকে পেশাগতভাবে কাজ করার চেষ্টা করছেন বলে মনে করেন ইফতেখারুজ্জামান। তার মতে, প্রশাসনে এখন তিন ধরনের শক্তি সক্রিয়—একদলীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠী, প্রতিস্থাপিত দলীয় গোষ্ঠী এবং নিরপেক্ষ থাকতে চাওয়া একটি ছোট পেশাজীবী গোষ্ঠী। নির্বাচন এই টানাপোড়েনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে।
টিআইবির এই কর্মকর্তা বলেন, হঠাৎ করে পুরো প্রশাসন পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতা ও পেশাদারত্ব গড়ে তুলতে হবে। সংস্কার কমিশনগুলোর দেওয়া সুপারিশ এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। অল্প কিছু অগ্রগতি হলেও তা যথেষ্ট নয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এসব দুর্বলতা মাথায় রেখেই সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে। কোথায় আইন প্রয়োগ হচ্ছে, কোথায় ভোটারদের অধিকার নিশ্চিত হচ্ছে এবং কোথায় ব্যর্থতা ঘটছে—সেগুলো তুলে ধরা সাংবাদিকদের দায়িত্ব।
টিআইবির এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের মনে করিয়ে দেন যে, এটি তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। একইসঙ্গে এটি তাদের আইনগত অধিকার ও কর্তব্য। তিনি বলেন, “আমরা যদি নিরপেক্ষভাবে, সত্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করি এবং স্বচ্ছতার দাবি অব্যাহত রাখি, তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আনার সুযোগ তৈরি করা সম্ভব।”
রাজধানী/এমবি
Copyright © 2025 All rights reserved.