| বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে চক্রান্ত চলছে: ফখরুল মারা গেলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান ১০ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় না গেলে রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার বার্তা নাহিদের সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট হতে দেওয়া হবে না: হুসিয়ারী ফখরুলের জাতিসংঘে দেওয়া আ.লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ডেঙ্গুতে লাশের মিছিলে আরও ৫ জন, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪ আওয়ামী লীগ আমলে সাংবাদিকতা তলানিতে ছিল : প্রেস সচিব চট্টগ্রামে বিএনপির গণসংযোগে গুলির ঘটনায় বিক্ষোভ আগামী পাঁচ বছরে ১ লাখ দক্ষকর্মী নিবে জাপান ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ পিআর নিয়ে দেশে ষড়যন্ত্র চলছে: খন্দকার মোশাররফ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে মৃত ব্যক্তিকে ভোটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল ১১ তারিখের পর ৫ দফা না মানলে ঢাকার চিত্র পাল্টে দেয়ার হুশিয়ারী জামায়াতের পাখির খাদ্যের আড়ালে সাড়ে ৬ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পপি বীজ জব্দ এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি সিরাজ গ্রেপ্তার মঞ্চ ৭১ মামলায় জামিন পেলেন লতিফ সিদ্দিকী রাউজানে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ আ.লীগ ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে: প্রেস সচিব চট্টগ্রামে বিএনপির জনসংযোগে গুলিতে সরোয়ার নিহত নির্বাচনী গণসংযোগকালে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ ৩জন গুলিবিদ্ধ

আধুনিক গণমুখী দেশ গড়ে তোলা বিএনপির লক্ষ্য: তারেক রহমান

  • প্রকাশের সময় : Nov 1, 2025 ইং
আধুনিক গণমুখী দেশ গড়ে তোলা বিএনপির লক্ষ্য: তারেক রহমান ছবির ক্যাপশন:
ad728
বিএনপি একটি আধুনিক ও গণমুখী বাংলাদেশ গড়তে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান লিখেছেন, যখন কোনো তরুণী মা পর্যাপ্ত শিশু পরিচর্যার সুযোগ না পেয়ে চাকরি ছেড়ে দেন, অথবা কোনো ছাত্রী পড়াশোনা বন্ধ করে দেন, তখন কী হয়? বাংলাদেশ হারায় সম্ভাবনা, উৎপাদনশীলতা এবং অগ্রগতি।

তিনি আরও লিখেছেন, বিএনপির লক্ষ্য সহজ: এমন একটি আধুনিক, গণমুখী বাংলাদেশ গড়া- যেখানে কোনো নারীকে তার পরিবার ও ভবিষ্যতের মধ্যে যে কোন একটিকে বেছে নিতে না হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের শ্রমশক্তি জরিপ তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, পুরুষদের তুলনায় নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম। মোট পুরুষদের ৮০ শতাংশের বিপরীতে মোট নারীদের মাত্র ৪৩ শতাংশ কর্মজীবী। এই ব্যবধান আমাদের সতর্ক করছে যে, আমরা আমাদের জাতির অর্ধেকেরও বেশি মেধা ও দক্ষতাকে পেছনে ফেলে যাচ্ছি। এ কারণেই বিএনপি সারাদেশে এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণের কথা বিবেচনা করছে, যাতে শিশু পরিচর্যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কৌশলের অংশ হয়।

তিনি লিখেছেন, আমাদের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন, সরকারি অফিসগুলোতে ধাপে ধাপে ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনের জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ, বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কারখানায় বাধ্যতামূলক ডে-কেয়ার ব্যবস্থা, যেসব নিয়োগকর্তা শিশু পরিচর্যার ব্যবস্থা রাখবে তাদের জন্য কর সুবিধা ও সিএসআর ক্রেডিট প্রদান এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মান অনুযায়ী কেয়ারগিভারদের প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট প্রদানের পরিকল্পনায় রয়েছে।

তারেক রহমান লিখেছেন, এই একটি সংস্কার নারীদের কর্মসংস্থান বাড়াতে পারে, পারিবারিক আয় বৃদ্ধি করতে পারে, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে আর্থিক স্থিতিশীলতা দিতে পারে এবং আমাদের জিডিপিতে ১ শতাংশ পর্যন্ত যোগ করতে পারে। যেহেতু তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ নারী, তাই কর্মজীবী মায়েদের অবদানকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।

ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গবেষণার তথ্য উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, যেসব কারখানায় শিশু পরিচর্যার সুবিধা রয়েছে, সেখানে কর্মী ধরে রাখার হার বেশি, অনুপস্থিতি কম, এবং প্রতিষ্ঠানগুলো এক বছরের মধ্যেই খরচ তুলে আনতে পারে।

শিশু পরিচর্যা কোনো দয়া-দাক্ষিণ্য নয় জানিয়ে তিনি লিখেছেন, এটি সামাজিক-অর্থনৈতিক অবকাঠামোর একটি অপরিহার্য অংশ। সড়ক যেমন বাজারকে সংযুক্ত করে, তেমনি ডে-কেয়ার সেন্টার নারীদের কর্মজীবনে সাফল্যের সঙ্গে সংযুক্ত করে।

তারেক রহমান আরও লিখেছেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট। ২০৩৪ সালের মধ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্রিলিয়ন-ডলারের অর্থনীতি গড়ে তোলা, যা লাখ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে- যেখানে প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে নারী, গর্বের সঙ্গে দেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। আমরা এমন যে কোন পশ্চাৎমুখী ধারণা প্রত্যাখ্যান করি, যা নারীর সম্ভাবনাকে সীমাবদ্ধ করে। শিশু পরিচর্যা, সমান মজুরি ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন শুধু ন্যায়সংগত নয়; এটিই বুদ্ধিবৃত্তিক অর্থনীতি।

সবশেষে তিনি লিখেছেন, আসুন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ি- যেখানে প্রতিটি কর্মজীবী মা ও প্রতিটি ছাত্রী নিজের সাফল্যের স্বাধীনতা পায়, এবং যেখানে সমাজের যত্ন ও সহযোগিতাকে অগ্রগতির ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : রাজধানী টিভি

কমেন্ট বক্স
১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্র

১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্র

ad300