সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে একাই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। ৭৫ বল খেলে লড়াকু ঢংয়ে তুলে নিয়েছিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। তবে মাইলফলক ছোঁয়ার পরপরই সাজঘরের পথ ধরেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত ৫১ রানে দুশমন্ত চামিরার গুড লেংথে পড়া বলে স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি হৃদয়। আগের ম্যাচেও সমান ৫১ রান করেই আউট হয়েছিলেন এই ব্যাটার।
২৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশের সামনে এখন কঠিন পথ। স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে শুধু জাকের আলী-ই ক্রিজে রয়েছেন। লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে তিনি কতটা কী করতে পারেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের টপ এবং মিডল অর্ডার ব্যাটারদের মধ্যে হৃদয় ছাড়া কেউই ন্যূনতম দায়িত্ব নিয়েও ব্যাট করেননি। ইনিংসের শুরুর দিকে ৬ বলের মধ্যে সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার তানজিদ তামিম (১৭) এবং তিনে নামা নাজমুল শান্ত (০)। এর মধ্যে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে তানজিদের স্টাম্প গুঁড়িয়ে দিয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো। এরপর দুশমন্ত চামিরার বলে স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি শান্ত।
পরে ক্রিজে থিতু হওয়ার আশা জাগিয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন ওপেনার পারভেজ ইমন এবং অধিনায়ক মিরাজ। তাদের দুজনের ব্যাটেই এসেছে সমান ২৮ রান।
ছয়ে নেমে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে স্টাম্পড হয়েছেন শামীম পাটোয়ারি (১২)। জয়ের জন্য এখনো ১৩৩ রান চাই বাংলাদেশের, হাতে আছে মোটে ৪ উইকেট।
এর আগে পাল্লেকেলেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কুশল মেন্ডিসের সেঞ্চুরি এবং চারিথ আসালাঙ্কার ফিফটিতে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলংকা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডের একটি করে জিতেছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আজকের ম্যাচটি তাই অঘোষিত ফাইনালে পরিণত হয়েছে।