আটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে অভিযুক্ত দুই রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে আরও আশঙ্কাজনক ঘটনা ঘটতে পারে । তিনি বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা না গেলে আবু সাঈদরা আবার মারা যাবে বহু নিরপরাধই প্রহৃত হতে থাকবে এবং দেশের সম্মানও ক্ষুণ্ণ হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) অ্যাটর্নি জেনারেল অভিযোগপত্রের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনকালে বললেন, বিচারে যদি এসব আসামির উপযুক্ত শাস্তি না নিশ্চিত করা যায়, তাহলে সাধারণ মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা বিপন্ন হবে। তাঁর ভাষায়, “আমরা যা উপস্থাপন করেছি তা সন্দেহাতীত”—অর্থাৎ রাষ্ট্র যে প্রমাণ দিয়েছে তা পর্যাপ্ত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ন্যায়বিচার ব্যাহত হলে দেশের জনগণ ইতিহাসে ‘ভীরু‑কাপুরুষ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই মামলাটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত—যেখানে অভিযোগ অনুসারে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও পঙ্গুত্বের ঘটনাও ঘটেছে। রাষ্ট্রপক্ষে বলা হয়েছে—প্রায় ১,৪০০ জন নিহত এবং ৩০ হাজার আহত বা পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। বিচারিক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল; মামলায় তৃতীয় আসামি ছিলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল‑মামুন, যিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের যুক্তি অনুযায়ী, মানবতাবিরোধী অপরাধের গুরুতরতা এমন যে বিশ্বের অনেক দেশে এমন মামলায় রাষ্ট্রপ্রধানদেরও সর্বোচ্চ সাজা কার্যকর হয়েছে—এটিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়। তিনি বলেন, এখানে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা গণহত্যার সদৃশ এবং প্রমাণ‑পর্দায় তা স্পষ্ট হওয়ায় সাজা ছাড়া বিকল্প নেই।