পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে একটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড় (জেটিডব্লিউসি অনুযায়ী ১ মিনিট স্থিতিতে) অবস্থান করছে। তবে ৩ মিনিটের স্থিতির হিসেবে এটি এখনো ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি। এটি এখন একটি অতি গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে, যার গতি ও প্রকৃতি ‘সাধারণ ঘূর্ণিঝড়’ মাত্রার খুব কাছাকাছি।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছে, এই সিস্টেমটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ উড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। উপকূলের নিকটবর্তী হওয়ায় এটির আর তেমন শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ নেই। বরং এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে বিডব্লিউওটি জানিয়েছে, যদিও এই সিস্টেমটি দক্ষিণ উড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে, তবুও এর সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে না। তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আজ এবং আগামীকাল (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় প্রায় ৩৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
বৃষ্টিপাত সম্পর্কেও বিডব্লিউওটি তথ্য দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে একটি বৃষ্টিবলয় সক্রিয় রয়েছে, যার ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত ৫ বা ৬ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে। বিশেষ করে সময়ের শেষদিকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।