জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ‘চূড়ান্ত রোডম্যাপ’ শুক্রবারের (১০ অক্টোবর) মধ্যে সরকারকে দেওয়া সম্ভব হবে। বুধবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। এখন মূল প্রশ্ন হলো—এই গণভোট বাস্তবায়নের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যাতে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে পারি। তিনি জানান, আগের আলোচনায় যে অগ্রগতি হয়েছে, তার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে বাকি অংশগুলোও নিষ্পত্তি করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো সুনির্দিষ্ট ও স্পষ্ট প্রস্তাব আসে, তাহলে কমিশন সেটিই সরকারের সামনে উপস্থাপন করবে এবং সেটার বাস্তবায়ন চায়। ইতোমধ্যে গণভোট সংক্রান্ত বিষয়ে সবাই একমত হওয়ায় তা বাস্তবায়নে অনেক দূর এগোনো সম্ভব হয়েছে। আজকের বৈঠকে গণভোট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া, কী কী বিষয়ে গণভোট হতে পারে—এসব নিয়েও একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেছে।
তবে আলী রীয়াজ জানান, কিছু রাজনৈতিক দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, যেগুলো তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে এসেছে। সব আপত্তিকে একভাবে বিবেচনা করা সম্ভব নয়। এজন্য দেখতে হবে—জনগণের সম্মতি যেন তথ্যপূর্ণ হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তিগুলো যেন July সনদে সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়।
গণভোটের সময়সীমা নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হলে কমিশনের কাজ সহজ হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আজকের মধ্যেই একটি চূড়ান্ত অবস্থানে পৌঁছানো যাবে। তবে প্রয়োজনে এক বা দুই দিন অতিরিক্ত সময় নেওয়া হতে পারে। তবুও ১০ অক্টোবরের মধ্যেই সরকারের কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন।
আলোচনার শেষে আলী রীয়াজ বলেন, "আমরা চাই, আগামী ১৫-১৬ অক্টোবরের মধ্যে যেন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায়। এ লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।"