অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনাকে ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণ’ হিসেবে দেখছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তবে তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোরও একই ধরনের সমালোচনা শুনতে মানসিক প্রস্তুতি থাকা উচিত। আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি। তারা মনে করে, কিছু উপদেষ্টার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড পক্ষপাতদুষ্ট এবং প্রশাসনিক পদায়নের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের ইঙ্গিত রয়েছে, যা সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
অন্যদিকে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের নাম ও বক্তব্যের রেকর্ড তাঁর কাছে আছে বলেও তিনি দাবি করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে। তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থানের) চিন্তা করছে।’
এসব প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উপদেষ্টাদের নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা ও সমালোচনা করা হচ্ছে, এমনকি হুমকি দেওয়া হচ্ছে—এটা এক ধরনের উত্তরণ। আগে আমরা দেখতাম সরকারের লোকজন রাজনৈতিক দলগুলোকে হুমকি দিত। এখন দেখা যাচ্ছে, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলো মুখ খুলছে, সমালোচনা করছে। এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন, গণতান্ত্রিক উত্তরণ বলা যায়। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকেও একই ধরনের সমালোচনা নিজেদের দিকেও শুনতে প্রস্তুত থাকতে হবে।’