নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, শাপলা আর শাপলা কলির মধ্যে পার্থক্য আছে। এটা আমার মনে হয় ব্যখ্যার অবকাশ রাখে না। কমিশনের প্রতীক তালিকায় এটি যুক্ত করার ক্ষেত্রে কারও দাবির বিষয়টিও নাকচ করে দেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক্-প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে এই ব্রিফিং করেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসি নতুন একটি প্রতীক তালিকা প্রকাশ করে। নতুন প্রকাশিত এ তালিকায় ‘শাপলা কলি’সহ বেশ কিছু প্রতীক সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, ইসির প্রতীক তালিকায় না থাকায় শাপলা প্রতীক দেওয়া যাবে না বলে এত দিন বলে আসছিল ইসি। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে ইসি সচিব বলেন, নতুন যে প্রতীক তালিকা, সেখানে শাপলা কলি রাখা হয়েছে। ইলেকশন কমিশন মনে করেছে, শাপলা কলিটা রাখা যেতে পারে। এখানে কারও কোনো দাবির বিষয় তো প্রাসঙ্গিক না।
আখতার আহমেদ আরও বলেন, একটা রাজনৈতিক দল যেটা এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি), তারা শাপলা প্রতীক চেয়েছে। শাপলা আর শাপলা কলির ভেতরে পার্থক্য আছে। এটা আমার মনে হয় ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে না।
কিসের ভিত্তিতে শাপলা কলি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, কিছু প্রতীক সম্পর্কে বিরূপ কিছু মতামত আমাদের কানে আসছে। সেই জিনিসগুলো কমিশন মনে করেছে, এটা সংশোধন করা দরকার বা করা যেতে পারে। সে বিবেচনায় এটা করেছে।
নভেম্বরে গণভোটের দাবিতে আটটি রাজনৈতিক দল আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইসির অবস্থান তুলে ধরে সচিব বলেন, ওনারা বলেছেন যে তাঁরা নভেম্বরে গণভোট চান। আমরা শুনেছি। গণভোটের বিষয় গতকাল (বুধবার) পেপারে হেডলাইন (পত্রিকার শিরোনাম) ছিল যে সরকার সিদ্ধান্ত দেবে, সরকার সিদ্ধান্ত দিক।
বিকেলে ইসির মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভায় অংশ নেন সরকারের ৩১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা।
এই সভা প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, আলোচনায় নির্বাচনের আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা উন্নতি, বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো নির্মাণ, নির্বাচনের দিন নির্বিঘ্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, ক্লাস্টার মেডিকেল টিম করা, পোস্টাল ব্যালট, এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)–সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় যাতে পাবলিক পরীক্ষাগুলোর সময় নিয়ে জটিলতা না হয়, সে বিষয়গুলো উঠে এসেছে।