জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে কুষ্টিয়ায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন—কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা।
প্রসিকিউশন ৫ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয়, যেখানে তিনটি নির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে—উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ততা এবং কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যা। পরদিন ৬ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও হাজিরের নির্দেশ দেন।
তবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল তাদের নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়।
প্রসঙ্গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জন নিহত এবং একাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ ঘটনায় মাহবুব উল আলম হানিফ ও হাসানুল হক ইনুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৃথক দুটি মামলা হয়। পরবর্তীতে তদন্ত সংস্থা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।