নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষক নিবন্ধনে ( ১৭তম ও ১৮তম ) চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগবঞ্চিতদের দাবি দ্রুত মেনে না নেওয়া হলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে শাটডাউন কর্মসূচি করার হুঁশিয়ারি দিলেন সুযোগবঞ্চিতরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও সুপারিশ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের একটি অত্যন্ত দুঃখজনক পদ্ধতি হচ্ছে, সর্বোচ্চ মেধাবীদের যাচাই-বাছাই করার পরেও একটি উল্লেখ যোগ্যসংখ্যক যোগ্য প্রার্থীকে বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশ না করে নতুন নিয়োগ পরীক্ষা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবারও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এনটিআরসিএ। এনটিআরসিএ এ পর্যন্ত ১-১৬তম নিবন্ধনের জন্য প্রকাশিত বিগত বিশেষসহ নয়টি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করেছে লক্ষাধিকের বেশি, যেখানে বয়স ৩৫ ঊর্ধ্বদের আবেদনের সুযোগ দিয়েছে। যা এনটিআরসিএ গত ২২ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো রূপরেখায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে। তবুও আমাদের মৌলিক অধিকার পেতে এত হয়রানি। আমরা ১৭তম এবং ১৮তম শিক্ষকরা কখন এই হয়রানি থেকে মুক্তি পাবো? তাই, আগামী ১২ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয় শাটডাউন ঘোষণা করছি।
এ সময় তারা দুটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-
১. বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা পরিবর্তনের পূর্বে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একবার হলেও আবেদনের সুযোগের দিতে হবে।
২. দাবি মানা না হলে এনটিআরসিএর সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এসময় চাকরিপ্রার্থীরা জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও লক্ষ্যাধিকের কাছাকাছি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তাই, আমরা চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও একবারও আবেদনের সুযোগ না পাওয়া প্রার্থীরা এই পদগুলো পূরণে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার, এনটিআরসিএর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।