নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করেই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করায় ক্ষোভ জানিয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভের কথা জানান। এর আগে তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
সাইফুল হক বলেন, আরপিও চূড়ান্ত করার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির আলোচনা জরুরি ছিল। ইসি এখনো ভালো করে জানেই না দেশে রাজনৈতিক দল কারা, আর তাদের ভাবনা কী। দলের সঙ্গে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় ক্ষোভ জানিয়েছি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসলে আরপিও নিয়ে প্রশ্ন আসবে। আর তখন আবার সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে।
সংসদ নির্বাচনে জামানত বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার সমালোচনায় তিনি আরও বলেন, এটা ঠিক হয়নি। নির্বাচনী ব্যয় সীমাও ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে, যা দেশের বাস্তবতার বিপরীত। নির্বাচনে কালো টাকা অবৈধ অর্থ ও মাফিয়া বন্ধ করতে না পারলে আগামী সংসদ কালো টাকার মালিকদের ক্লাবে পরিণত হবে। গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এই টাকার খেলাটা বন্ধ করা দরকার। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে টাকার যে ছড়াছড়ি, এটা বন্ধ করতে না পারলে গোটা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই একমাত্র দুই থেকে পাঁচ শতাংশ বা ১০ শতাংশ বিত্তবানদের মধ্যে এটা কিন্তু সীমাবদ্ধ থাকবে।
সাইফুল হক আরও বলেন, আমরা সিইসিকে যে কথাটা বলেছি নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা দরকার। রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগে আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশনের দক্ষ যে জনবল আছে সেখান থেকেও এটা নিয়োগ দেওয়া যায় কিনা, বিবেচনা করতে। জনপ্রশাসন ক্যাডারের পাশাপাশি অন্যান্য ক্যাডারেরও দক্ষ অভিজ্ঞ যেসব কর্মকর্তারা আছেন সেখান থেকেও রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া যায় কিনা এগুলোকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনার মধ্যে আনার কথা বলেছি। পোলিং অফিসার যেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কোনো বিতর্ক নেই, কোনো প্রশ্ন নেই, যারা নানাভাবে যাদের ব্যাপারে কোনো সমালোচনা নেই, তুলনামূলকভাবে যাদের একটা নিরপেক্ষতা আছে, পেশাদারিত্ব আছে এরকম প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আমরা মনে করি পোলিং অফিসার সেখানে নিয়োগ দেওয়া দরকার। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যেসব মন্ত্রণালয় আছে সেগুলো কমিশনের এখতিয়ারে আসা দরকার।
আমরা মনে করি, আগামী নির্বাচনে নিজ প্রতীকের বাইরে কেউ যদি অন্য কোনো প্রতীকে নির্বাচন করতে চান সেই সুযোগটাও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য রাখা দরকার। এর পরবর্তী নির্বাচনে নতুন বিধান রাখতে পারে।